ফ্রিল্যান্সিং করে কি ৳৪০-৳ ৬০ হাজার টাকা মাসে আয় করা সম্ভব ?

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ শুরু করার আগে আমাদের অনেকেরই মনে কিছু বেসিক প্রশ্ন আসে, তার মধ্যে এই প্রশ্নটিও অত্যান্ত গরুত্বপুর্ন, এই প্রশ্নটি কখন আসে আপনার মাথায় চলুন সেটা আগে একটু আলোচনা করে আসি। এই ধরুন, আপনি একজন কম বেতনের চাকরিজীবী, শিক্ষিত বেকার অথবা যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন, তাহলে এই কারণে আপনি যখন বিকল্প একটি ইনকাম সোর্স বের করার চেষ্টা করেন ঠিক তখনই সাধারণত আমরা এই ফিল্টের মধ্যে কোন না কোনভাবে জড়িয়ে পড়তে শুরু করি।

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৪0/৫0 হাজার টাকা ইনকাম

এই যেমন ধরুন, যিনি একজন কম বেতনের চাকরিজীবী তিনি তার সংসার চালাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বিকল্প কোন উপায় এর জন্য যদি কারো কাছে যেমন সহকর্মী,বড় ভাই,বোন,বন্ধু,গুরুজন অথবা স্ত্রীর কাছে সলুশন জানতে চাইছেন, ঠিক তখনই পরামর্শ হিসেবে তখন আপনার কাছে এই মেসেজটি আসতে পারে যে এখন তো অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করছে তো তুমি শুরু করো না কেন? তুমি ও চাইলে এই কাজটা শুরু করতে পারো। একজন বেকার ও শিক্ষিত তরুন একটি টেলিভিশনের খবর এর মাধ্যমে জানতে পারল যে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৪0/৫0 হাজার টাকা ইনকাম করছে দেশের হাজার হাজার তরুণ তরুণী। অথবা কোন একটি পত্রিকার ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে জানতে পারে একটিমাত্র ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইনে কাজ শুরু করে আজ তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। আবার একজন ছাত্র লেখাপড়ার পাশাপাশি কোন কিছু করে ইনকাম করার কথা অনলাইনে সার্চ করে তিনি এমন কিছু খুঁজে পেতে পারেন যেমন তার কোনো বন্ধু, ভাই ব্রাদার চাকরি ছেড়ে ঘরে বসে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করছেন। ঠিক এরকম কিছু দেখতে দেখতেই আমাদের মনেও সেম প্রশ্নটি চলে আসে যে পেপার পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায় তো উনারা যেহেতু ইনকাম করতে পারছে তাহলে আমিও ফ্রিল্যান্সিং করে এই ইনকাম করতে পারব কিনা?

আপনি ও ইনকাম করতে পারবেন কিনা!

এবারে সরাসরি আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে চলে আসি যে, আপনি ও ইনকাম করতে পারবেন কিনা? যেহেতু আপনি দেখেছেন অন্যরা করছে তবে কেন আপনি পারবেন না। অবশ্যই আপনিও তাদের মত ইনকাম টি করতে পারবেন। কারণ আপনি যেগুলো দেখেছেন বা জেনেছেন সে সবগুলোই বাস্তব এবং জলজ্যান্ত উদাহরণ

তবে এখানে আরো কিছু ব্যাপার আছে যে আপনাকে তাদের ইনকাম এর পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় জানতে হবে যেমন ধরুন, যে বা যারা ইনকাম টি করছে তারা কতদিন ধরে কাজ করার পর বর্তমানে এই ইনকাম টিতে আসতে পেরেছেন। নিশ্চয়ই আপনাকে এই ব্যাপারটি ও উপলব্ধি করতে হবে যে, যিনি ইনকাম করছেন তিনি কিন্তু একদিনে ওই ইনকামের নাম্বারটিতে আসতে পারেননি। সাথে সাথে আপনাকে এটাও জানতে হবে যে, উনি অনলাইন এর কোন প্যাসিফিক কাজটি করে ওই ইনকাম টি করেছেন? ধরে নিন, আপনি উপরুক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আপনি জানতে পারলেন যে, তিনি যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে ইনকাম করছেন সেটা উনি আজ থেকে এক থেকে দেড় বছর আগে শুরু করেছিলেন এবং সে কাজটা তখন থেকে শুরু করার পর আজ তিনি প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারছেন।

এভাবে আপনি যারা অনলাইনে বর্তমানে ইনকাম করছে তাদের সবার যদি খোঁজ নিয়ে দেখেন তাহলে লক্ষ্য করবেন যে তারা সবাই মোটামুটি প্রত্যেকে দের – দুই বছর আগে কাজটি শুরু করেছিলেন। তাহলে এবার আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনাকেও সেই একই পথে হাট হবে। তবে এখানে একটা সুবিধা আপনি পেতে পারেন যে, আপনি যে ব্যক্তিকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তিনি যদি আপনার কাছের কেউ হন তাহলে তার কাছ থেকেও আপনি কিছু সহযোগিতা পেতে পারেন। এরকম হলে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে অল্প সময় লাগতে পারে।

লক্ষ্য করুনঃ 

তাহলে সবশেষে আমরা পাচ্ছি যে উপযুক্ত সময় নিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এবং সঠিক গাইডলাইন মেনে কাজ করলে আপনিও একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মাসে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ফ্রিল্যান্সিংয়ের পথটি যেমন সহজ তেমনি কঠিন ও কারণ এখানে পথ হারাবার ভয় থাকে সর্বক্ষণ। শেষ কথাগুলো অবশ্যই মনে রাখবেন –

  1. যথাযথ প্রশিক্ষণ।
  2. নিদৃষ্ট সময়।
  3. সঠিক গাইডলাইনই পারে আপনাকে সঠিকভাবে ইনকাম এর লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে

নিচে আমার কাছে কিছু প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রশিক্ষণার্থীদের কাজের মাধ্যমে ইনকাম শুরু হওয়ার বা ইনকাম করার কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করলাম হয়তো এগুলো আপনাকে উৎসাহিত করতে পারে। সবশেষে, সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই ফ্রীলান্সিং রিলেটেড নানান তথ্য ও আপডেট ভিডিও গুলো পেতে আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সবাই খোদা হাফেজ।